বুধবার সকালে বিধায়কের বাড়ি ,কার্যালয়ে আয়কর দফতরের অফিসারদের হানা দেওয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার। শুধু কৃষ্ণ কল্যানী নয় সারা দেশে বিরোধী দলের উপর রাষ্ট্র শক্তির অপব্যাবহার চলছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় সারা দেশের বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এধরনের চক্রান্ত শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী এবং শিল্পপতি। তিনি একজন বাবসায়ী এবং সমাজসেবি। সাধারন মানুষ আজ ভীত সন্ত্রস্ত। কখন দাঙ্গা হয়। ব্যাবসায়ীরা ভীত সন্ত্রস্ত, রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা ভীত সন্ত্রস্ত। কখন এই সমস্ত এজেন্সিকে ব্যাবহার করে মিথ্যা মামলায় ধরে নেওয়া যায়। দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা দলের কর্মী। তারাও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। তবে কোন এজেন্সী এখানে তদন্ত করছে তার কোন নিদৃষ্ট তথ্য এখনও নেই। দলের কার্যালয়েও তালা ঝুলিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেন তৃনমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার। এদিনই কালিয়াগঞ্জের দুটি জায়গায় আয়কর দফতরের তল্লাশী চলছে। কালিয়াগঞ্জের বাঘন বটতলীর বাসিন্দা শুভদীপ চৌধুরী এবং কালিয়াগঞ্জের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজু মুন্দ্রার বাড়িতে তল্লাশী চলছে। বিধায়কের বাড়িতে আয়কর দফতরের তল্লাশির খবর পেয়ে বিধায়ক অনুগামীরা বাড়ির সামনে ভিড় জমান। বেলা ১১.৫৪ নাগাদ বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানীকে তদন্তকারি অফিসাররা ব্যালকনিতে আসার সুযোগ দেন। সেখান থেকে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নারেন। তাকে দেখতে পেয়ে কর্মী সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এখনও বাড়ির সামনে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা জমা হয়ে আছেন।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ির সামনে থেকে প্রবল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।