Uttar Dinanjpur : বিয়েতে এসে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারালো যুবক

আরও পড়ুন

খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়েতে এসে আর বাড়ি ফেরা হল না মৃত্যুঞ্জয়ের।মৃত্যুঞ্জয় রায়ের। পুলিশের গুলিতে তার প্রান হারাতে হয়েছে। পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল পরিচালিত রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত উপ প্রধান কৃষ্ণা বর্মন।

সূত্রের খবর ,কালিয়াগঞ্জের কিশোরী খুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হল। কিশোরী খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ থানায় যে ধন্দুমার কান্ড ঘটেছিল এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে অভিযোগ ওঠে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মন। বিষ্ণু বর্মনের বাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে। বিষ্ণু বর্মনের খুড়তুতো ভাই দীনেশ বর্মনের বিয়ে। বিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয় স্বজনরা এসেছিল।বিয়েতে জামাই সুব্রত বর্মন, খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মনও। সে শিলিগুড়িতে ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করে।বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানে আনন্দ ফুর্তি করে রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ।চাঁদগাঁ গ্রাম বাংলাদেশ সীমান্তবর্তি এলাকা। সীমান্ত নিরাপত্তার স্বার্থে বিএসএফের টহলদারিতে গ্রামবাসিদের গা সওয়া হয়ে গেছে।এলাকায় বিএসএফ এলেও তারা ঘুম থেকে ওঠেন না।বুধবার অধিকরাতে গ্রামে বিএসএফ না এসে পুলিশ আসে পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে। পুলিশ বিষ্ণু বর্মনের দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে বলে অভিযোগ । বাড়িতে ছিলেন না বিষ্ণু বর্মন।বিষ্ণুকে না পেয়ে বিষ্ণুর বাবা এবং বিষ্ণু ভগ্নিপতি সুব্রত বর্মনকে গাড়িতে তুললে এলাকার মানুষ আপত্তি জানান ।বাড়ির জামাইকে পুলিশ কোনভাবেই নিয়ে যেতে পারবে না। গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে আপত্তি করে। সেই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল মৃত্যুঞ্জয়। অধিক রাতে পুলিশ বিক্ষোভের মুখে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ।একটি গুলি মৃত্যুঞ্জয়ের বুকে লাগে। এই ঘটনার পর উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। পুলিশ গুলিবিদ্ধ মৃত্যঞ্জয়কে ফেলেই বিষ্ণু বাবাকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসে। গ্রামবাসিরা গুলিবিদ্ধ মৃত্যুঞ্জয়কে নিয়ে কালিয়াগঞ্জ ষ্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন । এমন খবর গ্রামে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তেই অসংখ্য গ্রামবাসী দলবেঁধে হাসপাতালে ছুটে আসে । সকালে প্রচুর পুলিশ হাসপাতালে মোতায়ন করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভ: মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণা বর্মনের অভিযোগ বিয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় বিষ্ণু কালিয়াগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন নি। পুলিশ মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে এসেছিল। সীমান্তবর্তি এলাকায় তাদের বাড়ি হওয়ায় এই গ্রামে পুলিশকে আসতে হলে বিএসএফকে জানানো প্রয়োজন।পুলিশ কাউকেই কিছু না জানিয়ে ঢুকে পড়ে গ্রামবাসিদের উপর অত্যাচার করছে। মৃত্যুঞ্জয় তার নিকট আত্মীয়।যাকে নিয়ে এই বিরাট ঘটনা বাড়ির জামাই সুব্রত বর্মন জানান, অধিক রাতে কিছু না বলে পুলিশ তার ঘরে ঢুকে পড়ে।পুলিশ বিষ্ণুর খোঁজ করে না পেয়ে তাকে এবং তার দাদু শ্বশুড়কে পুলিশের গাড়িতে তুলেছিল।পুলিশের এই কাজে গ্রামবাসিরা প্রতিবাদ করলে পুলিশ গুলি চালায়।গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে।

 

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close