ভরা গ্রীষ্মকাল।মাথার উপর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা, চারদিকে বইছে ফুরফুরে হাওয়া, শান্তির ঘুম রায়গঞ্জ রেলস্টেশনে।
শাস্ত্রজ্ঞরা বলে থাকেন, ৮৪ লক্ষ বার জন্মগ্রহণের পর ফিরে আসে মানব জনম। তাই এই মানব জনমকে পূর্ণাঙ্গভাবে উপভোগ করতে পিছু হঠতে চাননা প্রায় কেউ-ই। এমনই একজন মানুষ পরনে কালো রঙের প্যান্ট, গায়ে আকাশী রংয়ের জামা। ঘুম দিয়েছেন নিশ্চিন্তে রায়গঞ্জ রেলস্টেশনের বসার বেঞ্চ-এ। পাছে পায়ের পাটিজোড়া খোয়া যায়, সেই ভয়ে তা পড়েই ঘুমিয়েছেন ওই শান্তিকামী মানুষটি। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৯টা বেজে ৫৪ মিনিট । রায়গঞ্জ রেল স্টেশনে রাধিকাপুর-কাটিহার ডাউন রেল গাড়িটি ঢুকতে এখনও প্রায় এক ঘন্টা দেরি। এক নম্বর রেল স্টেশন চত্বর প্রায় ফাঁকা। তাই জিরিয়ে নিতে দ্বিধা করেননি ওই মানুষটি। তিনি ঘুমোন, আরও কিছু বিশ্রাম নিতে চাওয়া মানুষেরাও ঘুম দিন । যেহেতু সকাল এবং রাত ছাড়া দূরপাল্লার রেলগাড়ি স্টেশন এর উপর দিয়ে যায় না, ছলে কাটিহার রাধিকাপুর অথবা তেলটা রাধিকাপুর নামের রেলগাড়ি। কিন্তু বিপুল অংকের বিদ্যুৎ বিল মেটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে রায়গঞ্জ রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ তথা ভারতীয় রেল। সব সময় রেল যাত্রীরা থাকেন না। যুগ বদলেছে, বদলেছে উন্নত বিজ্ঞান প্রযুক্তিও। তাই জনমানবহীন রেল স্টেশনে বৈদ্যুতিক পাখাগুলি বন্ধের ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হোন রেল কর্তৃপক্ষ, চাইছেন সকলেই।
ফোর্টিন ওয়েব ডেস্ক, রায়গঞ্জ।