প্রায় পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের বন্যার পর থেকে রাস্তার অবস্থা রীতিমতো সঙ্গীন হয়ে পড়েছে। এতটাই বেহাল যে গ্রামের রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ঢোকানো দুষ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা । রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন তারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের ১০০ দিনের টাকা বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় উন্নয়ন থমকে আছে।
বেহাল রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়াই এখন এই অঞ্চলের মানুষের ভবিতব্য। জরুরি কাজে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারনে কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারেনা ফলে নাজেহাল অবস্থা হয় অসুস্থ রোগী থেকে শুরু করে গর্ভবতী মহিলাদের।
তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শাসকদলের সদস্য থাকা সত্ত্বেও রাস্তা নির্মাণের দিকে কারও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। তাই বাসিন্দারা ক্ষুদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই রাস্তা দিয়ে উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দারা হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকা থেকে শুরু করে তুলসীহাটা-সহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া আসা করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়ে এলেও কোনও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
যদিও এ প্রসঙ্গে রাস্তা খারাপের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তথা তৃণমূল নেতা ওবায়দুর রহমান। তিনি কটাক্ষের সুর চড়িয়ে বলেন, ওই রাস্তা নির্মাণের টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে কয়েক মাস আগেই। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের টাকার বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় রাস্তা নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না কোনোমতেই। টাকা পেলেই রাস্তা নির্মাণ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন ওবায়দুর রহমান ।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাবের জন্যই এলাকার বিভিন্ন গ্রামের উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে জেলা বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগারওয়ালা। তিনি বলেন, রাজ্য-জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা নিয়ে ব্যাপক হারে দুর্নীতি করছে তৃণমূল। এর জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে। আর তাতেই বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি। এর জন্য দায়ী রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি-র রাজনৈতিক তরজা।
ফোর্টিন টাইমলাইন, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালদা।