মানুষের পরিবর্তে পেলোডার দিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের পুকুর খনন করা হচ্ছে। বিডিও অফিসে অভিযোগ জানানোয় অভিযোগকারীকে মারধরের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটিকে ঘিরে চাঞ্চল্য মালদার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মালদার জেলা শাসক। এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
মালদার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর এলাকায় এম জি এন আর ই জি এ প্রকল্পে পুকুর খননের কাজ চলছিল। কিন্তু মানুষের পরিবর্তে রাতের অন্ধকারে পেলোডার দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ কাজ না পেয়ে বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মালদার জেলাশাসক। সেই নির্দেশের পর শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। কিন্তু অভিযোগ প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনার তদন্তে গেলে অভিযোগকারীকে মারধর করা হয়। মারধর করেন জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাসতারা খাতুনের স্বামী হবিবুর রহমান। একই অভিযোগে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। মারধরের ঘটনা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানা এবং বিডিও অফিসে।
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হবিবুর রহমান। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
যদিও এই ঘটনায় পুকুর খননের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলা শাসকের রাজর্ষি মিত্র। তিনি বলেন কাজ বন্ধ রেখে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বিডিও।
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি যুব মোর্চার সহ সভাপতি সুমিত সরকার বলেন, ”তৃণমূল পরিচালিত সমস্ত পঞ্চায়েতের দুর্নীতির কারখানায় পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষকে কাজ না দিয়ে মেশিন দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। যার ফলে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের দরিদ্র মানুষেরা।”
মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ”কেউ অন্যায় করলে দল পাশে দাঁড়াবে না প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। দল এই ধরনের ঘটনাকে কখনোই সমর্থন করে না।”
Avishek Saha, Reporter, North Malda