রাশিয়া-ইউক্রেইন্ যুদ্ধের পাশাপাশি এবার বিবাদ শুরু হয়েছে চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে। পূর্ব চিন সাগরে তাইওয়ানের উপর হামলার উদ্দেশে ঘেরাও করা হয়েছে বন্দর ও নৌঘাঁটি। সেখানে মজুত রয়েছে চিনা যুদ্ধজাহাজ ও আকাশপথে উড়ে বেড়াচ্ছে ৬৮ টি চিনা যুদ্ধবিমান।
তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক চুক্তি ভেঙে তাইওয়ান প্রণালীর কাছাকাছি চলে এসেছিল চিনের যুদ্ধজাহাজ। ছ’দিক দিয়ে তাইওয়ানের নৌঘাঁটিগুলিকে
ঘিরে ফেলতে চাইছে চিনের
রণতরীগুলি। সমুদ্র ও আকাশসীমার নীতি লঙ্ঘন করে চিনের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।
চিনা বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। চিন এর আগে ঘোষণা করেছিল, তাইওয়ানের চারদিকে ৬টি এলাকায় তারা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালাবে। তবে সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার আগেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকেছে ঝাঁকে ঝাঁকে চিনা যুদ্ধবিমান। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন। তাদের দাবি- জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই সামরিক মহড়া চলছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনো সরাসরি যুদ্ধ শুরু না হলেও নানা কৌশলে তাইওয়ানকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শি জিংপিং-এর চিনা সরকার। আমেরিকা যদিও চাইছে সর্বশক্তি দিয়ে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে। সেইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে ভবিষ্যতের সামরিক ঘাঁটি তৈরি করবে। অন্যদিকে সাময়িক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাড়াটে শূন্য এবং সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে কম সৈন্য সংখ্যার দেশ তাইওয়ান কিভাবে চিনের মত মহাশক্তিধর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে পাশাপাশি সেই লড়াই কত দিন দীর্ঘস্থায়ী হবে! অনেকের মতে রাশিয়া-ইউক্রেনের মত চিন -তাইওয়ানের যুদ্ধ খুব বেশি দীর্ঘায়িত হবে না। তাইওয়ানের সামনে চীনের মত রাষ্ট্রের লড়াই কে আত্মসমর্পণ ছাড়াও কোন রাস্তা খোলা থাকবে না। তাই অনেক অনেক ভেবে চিন্তেই তাইওয়ানের যুদ্ধে জড়ানো উচিত চিনের বিরুদ্ধে। অন্যথায় ঘরে বসেই চিন তাইওয়ানকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।