রাতের অন্ধকারে একের পর এক হত্যা গ্রামে এমনটাই সূত্রের খবর। মনে পরে গেল ‘জ্যাক দ্য রিপারে’র কথা যেখানে চলছিল একের পর ভয়ঙ্কর হত্যাকান্ড। সালটা ছিল ১৮৮৮, যেখানে একজন অজ্ঞাত ভাবে একের পর এক খুন করেই যাচ্ছিল। অজ্ঞাতপরিচয় এই সিরিয়াল কিলার-কে ‘জ্যাক দ্য রিপার’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। আবারও ফিরছে সেই স্মৃতি।তবে এবার পটভূমি লন্ডন নয় বরং জিংকোলওয়েনি নামক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম।
প্রসঙ্গত, এই গ্রামে গত এক বছর ধরে প্রতিমাসে একটি করে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। ঘুম কি জিনিস ভুলেই গিয়েছে প্রায় সেই গ্রামের বাসিন্দারা। একেবারে ঘড়ির কাঁটার সময় ধরে একের পর মহিলা যুক্ত হচ্ছে খুনের তালিকায়। ইতিমধ্যেই গ্রামটিতে মোট ১১টি সিরিয়াল কিলিং-er ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের অধিকাংশই মহিলা, এবং তাঁরা একা থাকতেন। রাত নামার পর তাঁদের বাড়িতে ঢুকেই ছুড়ির আঘাতে হত্যা করেছে একের পর এক। কয়েকজনের তো গলা-ই কেটে দেওয়া হয়। একেকটি ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই যে ইতিমধ্যেই ইস্ট লন্ডন থেকে ৩ ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত জিংকোলওয়েনিকে “Village of Death” “মৃত্যুর গ্রাম” আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর ২০২১ সালে মে মাসে প্রথম হত্যার ঘটনাটি ঘটে। জানা যায় দুজন বয়স্ক মহিলা যাঁরা নাকি আবার সম্পর্কে দুইবোন-ও ছিলেন, তাঁদের হত্যা করা হয়। এমনকি এঁদের মধ্যেই একজনের গলা কেটে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতিমাসে-ই রীতিমত ঘড়ির কাঁটা ধরে একটি করে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এমন এক দেশ, পরিসংখ্যান অনুযায়ী যেখানে প্রতি ২০ মিনিটে গড়ে অন্তত একটি হত্যা হয়। কিন্তু এই রহস্যময় সিরিয়াল কিলিং (Serial Killing) পুলিশ প্রশাসনের ভিত-ও নড়িয়ে দিয়েছে। কোনওভাবেই বুঝে উঠতে পারছে না, কে বা কারা করছে এইসমস্ত খুন? কেনই বা করছে? আসলে জোসা-ভাষী সম্প্রদায়ের নিবাস এই ‘মৃত্যুর গ্রামে’ রন্ডাভেল নামে পরিচিত একেকটি বাড়ি একে অপরের থেকে অনেকটাই দূরে দূরে অবস্থিত। মূলত সে কারণেই আরও বেশি করে সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে খুনী।রহস্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বহু পুরনো। তাই জ্যাক দ্য রিপারের রহস্য নিয়েও হয়েছে অসংখ্য মুভি, সিরিজ আর গেইম, লিখা হয়েছে অনেক বই, নির্মাণ করা হয়েছে অনেক ডকুমেন্টারি। তবে রহস্যটা আসলে রহস্যই রয়ে গেছে।