জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করার পরিকল্পনায় শ্রীলঙ্কা

আরও পড়ুন

শ্রীলঙ্কার এই চরম সংকট পরিস্থিতিতে ফের এক নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল শ্রীলঙ্কার নয়া প্রধানমন্ত্রী। এবার দেশটির আর্থিক লোকসান যাতে কমে সেই জন্য দেশটির জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। পাশাপাশি, দেশের আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল করার চেষ্টায় সরকারি বেতন প্রদানের জন্য নতুন করে টাকা ছাপানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার নয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে এদিন দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে একটি ভাষণে জানান, নতুন প্রশাসন শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের বেসরকারিকরণের কথা ভাবছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বর্ষে এই বিমান সংস্থা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন টাকা লোকসান করেছে বলএ খবর। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি। এই ক্ষতিপূরণ তাদের বহন করতে হচ্ছে যারা আজ পর্যন্ত কখনও বিমানে পা রাখেননি।” 

ইতিমধ্যেই বিক্রমসিংহে আরও বলেন, তাঁকে টাকা ছাপানোতে  বাধ্য করা হয়েছিল বেতন দেওয়ার জন্য। যার ফলে দেশের মুদ্রাস্ফীতির ওপর বিশেষ চাপ পড়বে। দেশের কাছে মাত্র এক দিনের গ্যাসোলিন মজুত রয়েছে। দেশটির সরকার শ্রীলঙ্কার জল সীমায় নোঙর করা অপরিশোধিত তেল এবং ফার্নেস অয়েল সহ তিনটি জাহাজের মূল্য পরিশোধ করার জন্য খোলা বাজারে ডলার অর্জন করার চেষ্টা করছে৷ উল্লেখ্য, ২০১০ সালে কলম্বো সরকার দুবাইয়ের এমিরেটস থেকে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি অংশ কিনে নিয়েছিল। দেশে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর থেকে সরকার আর গ্যাসোলিন এবং ডিজেলের ভর্তুকি বহন করতে পারবে না, এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

তিনি আরও বলেন, “আরও ভয়ংকর দিন আসতে চলেছে। আগামী কয়েক মাস কঠিন দিন যাপন করতে হবে। এই মুহুর্তের সংকট সামলাতে আমাদের অতি শীঘ্রই সমস্ত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় পরিষদ অথবা রাজনৈতিক সংস্থার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।” এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাক্ষ এশিয়ার দ্রুততম মুদ্রাস্ফীতির হারকে বৃদ্ধি করে উন্নয়ন বাজেটকে সরিয়ে দিয়ে একটি নয়া রিলিফ বাজেট ঘোষণা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। 

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কার নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেছেন রনিল বিক্রমসিংহে। দেশটিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এখনও কোনও অর্থমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়নি। শ্রীলঙ্কা এখন ভারত এবং চিন সহ অন্যান্য দেশগুলির কাছ থেকে ঋণ চাইছে। এখন কথা হচ্ছে যে, পূর্ণ মন্ত্রীসভার বিনা উপস্থিতিতে সরকার নগদ অর্থ পাবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার ভাবে জানা যাচ্ছে না।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close