আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফার প্রয়াণ

আরও পড়ুন

দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। তারপর থেকেই পুরোপুরি শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছেন দীর্ঘদিন। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা আরব দুনিয়াতে।

আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা

সূত্রের খবর, এদিন আমিরাতের কার্য্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে আগামী ৪০ দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে দেশ জুড়ে। এই এক মাসের বেশি সময় ধরে সমস্ত সরকারি ভবনে অর্ধনমিত রাখা হবে দেশের জাতীয় পতাকা। দেশের পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমেছে ভারতেও। আগামীকাল আমিরশাহীর প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে ভারতও। 

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, জায়েদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য ১৪ মে শনিবার সারা দেশ জুড়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। এদিন দেশের কোথাও কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। প্রসঙ্গত, জায়েদ গত ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর রাষ্ট্রপতির পদে যোগদান করেছিলেন। পাশাপাশি, আবু ধাবির সম্পূর্ণ শাসন ভার তিনিই সামলেছেন। আবু ধাবির ১৬ তম শাসক ছিলেন তিনি। 

জায়েদ আল নাহিয়ান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালে। গত ২০২০ সালে মার্কিন পৌরোহিত্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ইজরায়েলকে এই চুক্তির মাধ্যমে কূটনৈতিক স্তরে স্বীকৃতি দিয়েছিল আরব আমিরশাহী। সেই চুক্তি রূপায়ণের ক্ষেত্রেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন জায়েদ। ২০১৪-তে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর ক্ষমতার বেশ কিছু অংশই প্রদান করা হয় আরবের যুবরাজ মহম্মদ আল নাহিয়ানের হাতে। 

প্রসঙ্গত, আরব আমিরশাহীর প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে নির্বাচিত হন জায়েদ আল নাহিয়ান। আমিরশাহীর ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় সেসময় সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন খলিফ বিন জায়েদ। আরব পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নেয় তাঁরই শাসনকালে। ব্যবসা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশকে সেরাদের তালিকায় পৌঁছতে সাহায্য করেছিলেন জায়েদ। কিন্তু, তাঁর সেরা কীর্তি বলা হয় ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়াকে। তাঁরই আমলে ভারতের সঙ্গে আমিরশাহীর সম্পর্কের ভীত মজবুত হয়৷ 

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close